ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

গণতন্ত্র হত্যাকারীদের মুখে গণতন্ত্র রক্ষার কথা শোভা পায় না -মুজিবুর রহমান

নিউজ ডেস্ক :: ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির জনকের হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ১৫ আগষ্টের পর তিনি ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা কান্ডেও সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি শত শত দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেন। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করেন এবং তাদের বিচার যাতে কোনদিন না হয় সে জন্য ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। কোন নির্বাচনের তোয়াক্কা না করে নিজেকে রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, জিয়ার রীতি অনুসরণ করেন এরশাদ ও খালেদা জিয়া। জিয়া পত্নী খালেদা ৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। যার শাস্তি স্বরূপ মাত্র ২৭ দিনের মধ্যে এ দেশের জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেন। এরপর ২০০১ সালে কারচুপি করে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেন। বিভিন্ন অধ্যাদেশ জারী করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কারাগারে আটক রাখেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগষ্ট পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহর রহমতে রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক নির্বাচনে বিএনপি কোন দন ক্ষমতায় আসেনি। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে হাতে নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং দুর্নীতি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে জনগণকে জিম্মি করে রাখে। ক্ষমতায় আসতে না পারলে তারা জনগণের উপর প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে। ২০১৪ সালে একটানা ৩ মাস হরতাল ডেকে অসংখ্যা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত গাড়ি পুড়িয়েছে। তারা কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করে তারেক রহমান দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে লন্ডনে বসে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে এ দেশের জনগণ বার বার তাদের প্রত্যাখান করেছে। তিনি বলেন, যে দলের জন্ম গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নয় এবং যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী তাদের মুখে গণতন্ত্র রক্ষার কথা শোভা পায় না।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এড. বদিউল আলম সিকদার, রেজাউল করিম, সায়মুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এম,পি, কানিজ ফাতেমা আহমদ এম,পি, মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, এড. নুরুল ইসলাম, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এডভোকেট আয়াছুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, খোরশেদ আলম কুতুবী, ইউনুছ বাঙ্গালী, এড. তাপস রক্ষিত, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, হেলাল উদ্দিন কবির, এম.এ. মনজুর, কায়রুল হক জুয়েল, এ.টি.এম. জিয়া উদ্দিন, ড. নুরুল আবছার, মিজানুর রহমান, জি.এম. কাসেম, মাহামুদুল করিম মাদু, সহযোগী সংগঠনের জহিরুল ইসলাম সিকদার, সোহেল আহমদ বাহাদুর, শহীদুল হক সোহেল, হামিদা তাহের, আয়েশা সিরাজ, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, শফিউল্লাহ আনচারী, চেয়ারম্যান টিপু সোলতান, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, আরিফুল মওলা, সাদ্দাম হোসেন, মারুফ আদনান, আসিফুল মওলা, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, হাসান মেহেদী রহমান, এড. একরামুল হুদা, এ.বি. সিদ্দিক খোকন, শাহানা আকতার পাখি, রেবেকা সুলতানা আইরিন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধাণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর।

সভার শুরুতেই পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজর নেতাকর্মী বাদ্যবাদনা সহকারে বিশাল আনন্দ র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং সভা শেষে রং বে-রং এর শত শত বেলুন উড়িয়ে আতঁশবাজি উৎসবের মধ্যেদিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

 

পাঠকের মতামত: